কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার গুণধর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে নতুন নেতৃত্বের দায়িত্ব পেলেন জেলার খ্যাতিমান আইনজীবী ও সমাজসেবক অ্যাডভোকেট শফীউজ্জামান শফী। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা কর্তৃক জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে বিদ্যালয়টির এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
২০২৪ সালের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের প্রবিধানমালার ৬৪(১) ধারা অনুসারে, এই নিয়োগটি ছয় মাসের জন্য প্রযোজ্য হবে। এ সময়ে তিনি প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় নেতৃত্ব প্রদান করবেন এবং শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
অ্যাডভোকেট শফীউজ্জামান শফীর বাড়ি করিমগঞ্জ উপজেলার গুণধর ইউনিয়নের সুধী গ্রামে। পেশাগত জীবনে তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী হিসেবে সুপরিচিত। পাশাপাশি তিনি করিমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয় থাকলেও তার পরিচয় এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। তিনি একাধিকবার করিমগঞ্জ উপজেলা বিআরডিবির (বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন, যেখানে তিনি স্থানীয় উন্নয়ন এবং জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
অ্যাডভোকেট শফীউজ্জামান একজন নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষানুরাগী হিসেবেও ব্যাপকভাবে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে তিনি শিক্ষা উন্নয়নে নিবেদিত থেকেছেন এবং স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত রয়েছেন। তার নেতৃত্বে গুণধর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন, শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে নতুন গতি সঞ্চার হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
নতুন গঠিত চার সদস্যবিশিষ্ট এডহক কমিটিতে সভাপতি শফীউজ্জামান শফী ছাড়াও রয়েছেন প্রধান শিক্ষক মো. মাসুদ ইকবাল, যিনি কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। সাধারণ শিক্ষক সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়েছেন শিক্ষক জাকারিয়া এবং অভিভাবক সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন মুখছেদুল মুমিন সবুজ।
বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা বাস্তবায়ন, প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা এবং ছাত্রছাত্রীদের সার্বিক শিক্ষাগত অগ্রগতির জন্য এডহক কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই, এই কমিটির নেতৃত্বে একজন অভিজ্ঞ, জনবান্ধব ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্বের অন্তর্ভুক্তি বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশাবাদী স্থানীয় শিক্ষক, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা।
এদিকে শিক্ষাবোর্ডের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিদ্যালয়টির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করছেন, অ্যাডভোকেট শফীউজ্জামান শফীর প্রশাসনিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার কারণে বিদ্যালয়টি সামনে আরও ভালো ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হবে।
এই নিয়োগ শুধু একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তির হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়া নয়, বরং এটি শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করার সম্ভাবনাও তৈরি করেছে।
Post a Comment