কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পুলিশের দাবীকৃত ১ লাখ টাকা না দেয়ায় অটো রিকসা চালক দম্পতি বিরুদ্ধে মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী স্মৃতি বেগমকে মিথ্যা মাদক মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে ভৈরব থানার শ্যামল ও আল মামুনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী পরিবারের বড় ভাই আকবর একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। আকবরের সাথে পারিবারিক ভাবে মোহাম্মদ আলীর ঝগড়া হয়। গত ৮ মার্চ তার ভাই আকবরের বাড়ি থেকে ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক শ্যামল দেবনাথ পরিত্যক্ত অবস্থায় ১০ কেজি গাজাঁ উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগী অটো চালক মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী স্মৃতি বেগম সংবাদ সন্মেলনে বলেন, ৮ মার্চ রাতে তার বড় ভাই মাদক ব্যবসায়ী আকবর আলীর ঘর থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় দারোগা শ্যামল ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আকবর ও তার স্ত্রী রুবির নামে মামলা না দিয়ে উল্টো আমার কাছে ১ লাখ টাকা দাবী করছে দারোগা আল মামুন। আমি তার কাছেই আমরা জানতে পারি আমাাদের নামে মাদকের মামলা হয়েছে। আমি অটো রিকসা চালাই আর আমার স্ত্রী পলিথিনের বস্তা সেলাই করে কোনো রকমে সংসার চালাই। আমাদের ৩টি সন্তান রয়েছে। দারোগা আল-মামুন আমাকে ফোনে একাধিকবার হুমকি দিচ্ছে টাকার জন্য না দিলে মাদকের মামলায় গ্রেফতার করে জেলে পাঠাবে। কয়েক দিন রাত আনুমানিক ১ টার সময় দারোগা আল-মামুন আমাকে আমার বাড়ি থেকে আটক করে পুনরায় ১ লাখ টাকা দাবী করে। মামলা থেকে বাচার জন্য আমি পাশ।র্ববর্তী বাড়ি থেেেক ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ছাড়া পায়। পরে জানতে পারি মামুন দারোগা আকবর ও রুবির সাথে যোগ সাজশ করে আমাদের কে মাদকে মামলার আসামী করেছে। মামলা থেকে রক্ষা পেতে আজ সংবাদ সন্মেলনে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক আল মামুন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামলার বাদী শ্যামল চন্দ্র দেবনাথ। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
শ্যামল চন্দ্র দেবনাথ এর সাথে কথা হলে তিনিও অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, মাদক উদ্ধারের ১ দিন পর মাদক মামলা দায়ের করেছি। কার মাদক দিয়ে কাকে মামলা দিয়েছি তখনতো কেউ এসে আমাাকে জিজ্ঞাসা করেনি।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফুয়াদ রোহানী জানান, কেউ এ ধরনের কাজ করলে ডিপার্টমেন্ট তার দায় নেবেনা।
Post a Comment