গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ভয়াবহ হামলা চালানোর প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভকারীরা হোয়াইট হাউসের সামনে একত্রিত হয়ে গাজার মানুষদের জন্য শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি বন্ধের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন।
বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানাতে কেফিয়েহ (ফিলিস্তিনি স্কার্ফ) পরিধান করেন। তাদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড, যেগুলিতে লেখা ছিল:
- "ইসরায়েলে সব ধরনের মার্কিন সহায়তা বন্ধ কর"
- "স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র চাই"
- "যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো বোমায় নিহত হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা"
ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারীরা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক হামলার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং মার্কিন সরকারের প্রতি ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত বছর ২০২৩ সালে, হামাসের হামলার পর গাজায় ইসরায়েল সামরিক অভিযান শুরু করে। মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও ইরাকের প্রচেষ্টায় গাজায় ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তি, গাজায় ত্রাণ সরবরাহ এবং ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহারের শর্ত ছিল।
তবে দ্বিতীয় পর্বে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। ইসরায়েল অভিযোগ করে যে হামাস কিছু বন্দিকে হত্যা করেছে, যদিও হামাস তা অস্বীকার করেছে।
গত সোমবার রাতে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী নতুন করে হামলা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত চার শতাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু ঘটিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন,
“এই হামলা কেবল শুরু মাত্র। ভবিষ্যতে হামাসের সঙ্গে আলোচনা হবে যুদ্ধের মধ্যে।”
যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারীরা ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। তারা মনে করছেন, ইসরায়েলি হামলা ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, এবং তারা চান মার্কিন সরকার ইসরায়েলের প্রতি তাদের অবশ্যকর্তব্য সহায়তা পুনর্বিবেচনা করুক।
এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যেই ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের সমাধান খোঁজা হবে।
Post a Comment